নবজাতক পরিচর্যার 12 টি টিপস জেনে রাখা উচিত প্রতিটি মা বাবার।
নতুন বাবা মা হওয়া দম্পতিদের সাধারণত নবজাতক লালন পালনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। একটু খেয়াল করে যত্নবান হলে কিন্তু সমস্যাগুলোর সহজে সমাধান করা সম্ভব। এখানে কিছু সুন্দর টিপস পরিবেশন করা হলো যা ফলো করলে সন্তান লালন অনেক স্বস্তিদায়ক হয়।
(১) সন্তানের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝার চেষ্টা করুন
শুধুমাত্র কান্না দিয়েই বাচ্চারা মনযোগ আকর্ষণ করে তা নয়, অঙ্গভঙ্গি ও শারীরিক ইঙ্গিত দিয়েও তারা নিজেদের চাহিদার জানান দেয়। হাত মুষ্ঠি করে ফেলা মানে আপনার শিশু ক্ষুধার্ত অথবা মন খারাপ। বারবার পা ঝাড়া দেয়ার মানে সে খেলতে চাচ্ছে।
(২) স্তনদানের সময় বাহু বাচ্চার ঘাড় থেকে দূরে রাখুন।
নবজাতকের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা উচিত যেন আপনার বাহু তার ঘাড়ে চেপে না বসে।কেননা, এই সময়ে বাচ্চা তার নিজের ঘাড় নাড়ার মত শক্তপোক্ত হয়না। তাই মাকেই হাতে ধরে বাচ্চার ঘাড় নেড়েচেড়ে সুবিধাজনক পজিশনে স্তনপান করানো উচিত। বাচ্চা একটু বড় হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য আর আশংকা থাকেনা, কারণ বাচ্চা তখন নিজ থেকেই ঘাড় নেড়ে যুতমত স্তনপান করতে পারে।
(৩) ক্ষিধা লাগলেই শুধু খেতে দিন
টানা ৮ থেকে ১২ মিনিট ধরে শিশুকে দুধ দিন। দৈনিক ২ থেকে ৩ ঘন্টা অন্তর অন্তর দুধ পান করান। বাচ্চার ইঙ্গিতের দিকে লক্ষ্য রাখুন। যেমন বৃদ্ধাঙ্গুলি চুষা বা হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করা।
(৪) বাচ্চাকে জাগাতে আলতো সুড়সুড়ি দিন
কোনো কারণে বাচ্চাকে জাগাতে ঝাকাঝাকি করবেন না। এমনকি জেগে থাকা শিশুকেও ঝাঁকি দেয়া ঝূকিপূর্ণ। তাই শিশুকে জাগাতে চিবুকের নিচে আলতো করে আংগুল বুলান। কিংবা হালকা ফু দিন তার গালে।
(৫) বাচ্চাকে আলগা চুষনির অভ্যাস করাবেন না
যদি চান আপনার সন্তান স্বাস্থ্যবান হোক, পেট ভরেই দুধ পান করুক তাহলে তাকে প্লাস্টিক বা রাবারের চুষনিতে অভ্যস্ত করানোর চিন্তা বাদ দিন।
(৬) তুলতুলে হোক বাবুর গোসল
নবজাতকের কচি চামড়ার যত্নের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের সময় অবশ্যই তুলতুলে কোন স্পঞ্জ ব্যবহার করুন।
(৭) টাবের ভিতর টাব
বাথটাবের ভিতর বাচ্চা যেন পিছলে না যায় এর জন্যে ভিতরে একটি সবজির ঝুড়ি বসিয়ে দিন। ব্যস, আনমনে খেলুক আপনার সন্তান।
(৮) হালকা গরম সেকে শিশু খুশি
যদি চান আপনার স্তন পর্যাপ্ত দুধ উদগীরণ করুক তাহলে বাচ্চাকে স্তনদানের আগে আপনার স্তন হালকা গরম কাপড় বা ব্যাগ দিয়ে সেকে নিন। দারুণ কাজে দিবে।
(৯) কোরআনের তিলাওয়াত শান্ত রাখবে সন্তান
সন্তানকে ঠান্ডা মেজাজী ও শান্ত স্বভাবের করে গড়ে তুলতে ঘরে নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত চালিয়ে রাখুন। কোরআনের সুর কচি মনে ভালো প্রভাব ফেলে। এছাড়া আয়াতুল কুরসি পড়ে সন্তানকে সবসময় শয়তানের কুপ্রভাব থেকে মুক্ত রাখুন।
(১০) এলার্জি যেন না বাঁধে
শিশুর কচি ত্বকে শুষ্কতা আসে, কিন্তু এর জন্যে তেল বা লোশন ব্যবহার করতে গিয়ে খুব সাবধানে পণ্য নির্বাচন করুন। ভুল জিনিস প্রয়োগে আপনার সন্তানের আজীবনের জন্যে এলার্জি হতে পারে।
(১১) ঘুমের সময়ে বিছানা
ঘুমের সময় হলে বাচ্চা ঘুমিয়ে পড়ার আগেই কিছুক্ষণের জন্য তাকে তার বিছানায় জাগ্রত অবস্থায় ছেরে দিন। এতে করে তার ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরী হবে।
(১২) দাঁত ও মাড়ির যত্ন আবশ্যিক শৈশব থেকেই দাঁত ব্রাশ ও মুখের পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনিও এই অভ্যাসে অভ্যস্ত হউন, আপনার সন্তানও আপনাকে অনুসরণ করবে।
মানসিক বিকাশে যে কাজগুলো করতে পারেন তা জানতে পড়ুন এই আর্টিক্যাল
আরো ইসলামী জ্ঞান জানতে এই পেজটি ফলো করুন