সূরা হজের রুকু – ১ (আয়াত ১ থেকে ১০)
আয়াত ১ ও ২
কেয়ামতের ভিন্ন মাত্রার দৃশ্যায়ন, কোরআনের অনেক জায়গায় কেয়ামতের বিবরণ আনা হয়েছে। কিন্তু এই চিত্রায়নটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আয়াত ৩ ও ৪
ফেরেশতাদের সম্পর্কে কটূক্তি, কোরআন অবমাননা ও পরকালীন বিশ্বাস নিয়ে হটকারিতার জনক নদ্বর বিন হারসের কুতর্কের মূলধন ও ইন্ধনদাতা সম্পর্কে গুমর ফাঁস করে দেয়া বিবৃতি। এরকম প্রতিটি কুতার্কিকের পেছনে থাকা শয়তানের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াত ৫, ৬ ও ৭
পুনরুত্থান নিয়ে সংশয়কারীদের সামনে তিনটি চক্রের উদাহরণ নিয়ে আসা হয়েছে।
এক. মানবজাতির সূচনাপর্ব থেকে মানবভ্রুণের ক্রমবিকাশের প্রতিটি পর্ব যেন একেকটি পুনরুত্থান।
দুই. যৌবনের টইটম্বুর জ্ঞান-বুদ্ধির পর বার্ধ্যক্যের স্মৃতিভ্রম, বিস্মরণ ও বোধহীনতার চক্র যেন শৈশবের দিনগুলোকে আবার পুনরুত্থান করে।
তিন. খরা-বিরান চাষভূমি শ্যমলতা হারানোর পর বৃষ্টির ছোঁয়ায় আবারো জেগে উঠা আরেকটি চাক্ষুষ পুনরুত্থান যেন।
এভাবেই আল্লাহ্ সমাধিস্থ সকলকে পুনরায় সৃজন করতে সক্ষম।
আয়াত ৮, ৯ ও ১০
আবারো কুতর্কের মূল হোতার কারিগরি নীলনকশার ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে। এদের কুতর্ক না কোনো মনুষ্য সহজাতগত যুক্তির অনুকূলে, আর না কোনো স্পষ্ট প্রমাণাদি নির্ভর থিওরী। সহজ সরল মানুষদেরকে সত্যের পথ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে এরা হামবড়া একটা ভাব নিয়ে তত্ত্ব-উপাত্ত্ব কপচায়। এদেরকে রোজ হাশরে কড়ায়-গন্ডায় বুঝিয়ে দেয়া হবে তাদের কৃতকর্ম ও বিনময়।
ফেসবুকে পর্বটি পড়ুন এই লিঙ্কে
সূরা হজের স্ন্যাপশটের ২য় পর্ব পড়ুন এখানে
মন খুলে পড়ে আমল করুন ভাইয়েরা।
– সাঈদুল মোস্তফা